বাইরের দিক থেকে দেখতে গেলে রেস্টুরেন্ট টি পুরো ইলিশের মতো। এর গঠন সম্পূর্ণ মাছের মতো না হলেও এর কাঠামো তৈরি করা হয়েছে ইলিশ মাছের মতো। এর ভিতরে রয়েছে ভিন্নধর্মী বিভিন্ন আলোকসজ্জার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সব আধুনিক সুবিধাসমূহ। দিনের বেলায় এ রেস্টুরেন্ট সুন্দর দেখা গেলেও এর আসল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে রাত্রিবেলা।
সেখানে ভিন্নধর্মী খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে এবং সেখানে সবচেয়ে আইকনিক খাবার হলো ‘ইলিশ’। এই রেস্টুরেন্টে ইলিশের প্রায় ২৫ টি খাবার পাওয়া যাচ্ছে এবং অন্যান্য খাবারের মধ্যে রয়েছে চাইনিজ ও ইন্ডিয়ান ফুড। ইলিশের রেসিপিগুলোর মধ্যে রয়েছে পদ্মা পাড়ের ইলিশ, পানিখোলা ইলিশ, ভাপা ইলিশ, সরষে ইলিশ ও ইলিশ ভাজা। অন্যান্য খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম ভাঁজি ও ইলিশ মাছের লেজের ভর্তা। সেখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় খাবার হল পানিখোলা ইংলিশ, যা আমাদের ঐতিহ্য থেকে হারিয়ে যেতে বসেছিল।
এ রেস্টুরেন্টের আরেকটি আকর্ষণ হচ্ছে ওপেন কিচেন। আপনি চাইলেই মাছ বাছাই করে কিনে দিতে পারবেন। রান্নাবান্নাও হবে চোখের সামনে। ভরদুপুরে খেতে বসলে থাই গ্লাস ভেদ করে হালকা রোদের ঝিলিক পরবে ইলিশ ভর্তি প্লেটে। সন্ধ্যা নামলেই মিহি হলদে রংয়ে আলোয় ছেয়ে যাবে পুরো প্রজেক্ট। সঙ্গে ইলিশের হরেক রকম পদের স্বাদে হারিয়ে যাবেন কোন এক কল্প লোকে।
বিশাল এই রেস্টুরেন্টের নকশাও খুব সহজে সবার নজর কাড়বে। বিশেষ করে খাবারের স্বাদ, মান ও পরিবেশ নিয়ে ভোজন রসিকদের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। এখানে রান্না হয় কাচঘেরা পরিচ্ছন্ন কিচেনে। এই রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে ৩৫০ জনেরও অধিক লোক একসঙ্গে বসে খাবার খেতে পারেন। আপাতত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রেস্তোরাঁ খোলা রাখা হয়।
রেস্টুরেন্টটিতে শিশুদের জন্য রয়েছে খেলার ব্যবস্থা। রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধাও।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে ‘প্রজেক্ট হিলসা’ রেস্টুরেন্টটি। সবাই যখন যাওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন, চাইলে প্রিয়জন নিয়ে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন প্রকৃতির কাছে তাজা ইলিশের স্বাদ নিতে।