বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ঢাকা জাদুঘেরর উত্তরসূরী। ১৯১৩ সনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি কক্ষে ঢাকা জাদুঘর নামে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন বাংলার গভর্ণর লর্ড কারমাইকেল ১৯১৩ সনে ঢাকা জাদুঘর উদ্বোধন করেন। ঢাকা জাদুঘরের প্রথম কিউরেটর ছিলেন ডঃ নলিনি কান্ত ভট্টশালী। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৮৩ সনে ঢাকা জাদুঘর শাহাবাগে বর্তমান জাদুঘর ভবনে স্থানান্তর করা হয় এবং জাতীয় জাদুঘর হিসেবে নাম করণ করন করা হয়। চারতলা বিশিষ্ট বর্তমান জাদুঘর ভবনে ২০ হাজার বর্গমিটার প্রদর্শনী এরিয়া রয়েছে। এতে মোট ৪৫টি গ্যালারি রয়েছে। কেবল বাংলাদেশেই নয় এটি দক্ষিণ এশিয়ার অত্যতম সর্ববৃহৎ জাদুঘর। এই ভবনে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত তিনটি মিলনায়তন, একটি প্রদর্শনী হল এবং একটি ফটোগ্রাফিক সেকশন রয়েছে। জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহ শালা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। খৃষ্টপূর্ব সময়কাল থেকে আমাদের কৃষ্টি-কালচার, স্থাপত্য নিদর্শন, ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বিভিন্ন আমলে প্রচলিত ধাতব মুদ্রা ইত্যাদি মূলবান প্রত্ন সম্পদের এক অভূতপূর্ব সংগ্রহশালা রয়েছে এই জাদুঘরে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আমাদের সভ্যতা ও ঐতিহ্যের ধারক। বাংলাদেশ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষাভ্রমনের এক উপযুক্ত স্থান হতে পারে বাংলাদেশ জাদুঘর। এ জাদুঘরে রয়েছে আনুমানিক ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার বইসংবলিত পাঠাগার।
জাদুঘর সময়সূচী
সাপ্তাহিক বন্ধ প্রতি বৃহস্প্রতিবার।
শুক্রবার বিকাল ৩.০০টা থেকে রাত রাত ৮.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।অক্টোবর থেকে মার্চ মাসে- শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকাল ৫.০০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে -শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০.৩০ থেকে বিকাল ৫.৩০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
জাদুঘর প্রবেশ মূল্য
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের টিকেট এখন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন অনলাইনে। এখন থেকে টিকেট কা্উন্টার থেকে আর টিকেট পাওয়া যাবে না। জাতীয় জাদুঘরের ওয়েব সাইট থেকে নিকেট কেটে ডাউনলোড করা কপি বা প্রিন্ট করা কপি গেইটে দেখালে জাদুঘরের ভেতর প্রবেশ করতে পারবেন। এখন টিকেট বিতরন লিমিট করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০০ জনকে টিকেট দেওয়া হয়। টিকেটের মূল্য ৩ থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য ১০ টাকা, ১২ থেকে বেশি বয়সীদের জন্য ২০ টাকা এবং বিদেশিদের জন্য ১০০ টাকা, শুধু সার্কভূক্ত দেশগুলোর জন্য ২০ টাকা।
⦿ জাদুঘরের ভেতরে ছবি তোলার নিয়ম নেই তাই ছবি তোলা থেকে বিরত থাকুন।
⦿ বাইরের খাবার বা পানি জাদুঘরের ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না।
⦿ শোকেজে রাখা নিদর্শনগলোতে হাত দিবেন না।
⦿ প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল বন্ধ রাখন।
⦿ উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
⦿ আর অবশ্যই বৃহস্প্রতিবার জাদুঘর পরির্দশনে যাবেন না। বৃহস্প্রতিবার জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে।
জাদুঘর কিভাবে যাবেন
জাতীয় জাদুঘর ঢাকার শাহবাগ গোল চত্তরের দক্ষিন পাশেই অবস্থিত। ঢাকার গুলিস্তা, মতিঝিল, শাহাবাগ, গাবতলী, মিরপুর বা টঙ্গী থেকে শাহাবাগগামী যে কোন বাসযোগে জাতীয় জাদুঘরে আসা যায়। শাহাবাগ গোল চত্তরের দক্ষিন পাশেই দেখতেপাবেন জাতীয় জাদুঘর।
ভ্রমনকালে পরামর্শ
⦿ বর্তমান করোনাকালীন সময় মুখে মাক্স ব্যবহার করুন।⦿ জাদুঘরের ভেতরে ছবি তোলার নিয়ম নেই তাই ছবি তোলা থেকে বিরত থাকুন।
⦿ বাইরের খাবার বা পানি জাদুঘরের ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না।
⦿ শোকেজে রাখা নিদর্শনগলোতে হাত দিবেন না।
⦿ প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল বন্ধ রাখন।
⦿ উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
⦿ আর অবশ্যই বৃহস্প্রতিবার জাদুঘর পরির্দশনে যাবেন না। বৃহস্প্রতিবার জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে।