mawa-resort
ঢাকা থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার দূরে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মাওয়া ১নং ফেরি ঘাঁট থেকে একটু দক্ষিণে গেলে মাওয়া-ভাগ্যকুল রাস্তার কান্দিপাড়া গ্রামে প্রকৃতিকে আরও কাছ থেকে উপলব্ধির জন্য পুলিশের রিটায়ার্ড প্রাপ্ত কাশেম হাওলাদার ২৩ বিঘা জায়গার উপর নির্মাণ করেছেন পর্যটকদের বিনোদন কেন্দ্র মাওয়া রিসোর্ট

প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত একটি অন্য রকম পর্যটন কেন্দ্র মাওয়া রিসোর্ট। নাগরিকতার গন্ডি পেরিয়ে সবুজের হাতছানি পেতে দূর-দূরান্তর থেকে ছুটে যাচ্ছে পর্যটকরা এই রিসোর্টটিতে। ছোট-বড় সকলের বিনোদনের উৎস এই রিসোর্টে আপনি দেখতে পাবেন, সকলের আকর্ষণ বিশাল দীঘি ও শান বাঁধানো পাকা ঘাঁট। যে ঘাঁটে বসে আপনি শিকার করতে পারেন ঘাটের বিভিন্ন তাজা মাছ। সেই সাথে গ্রহণ করতে পারেন তাজা মাছের স্বাদও! ঘাটের ওপরে দর্শনার্থীদের পারাপারের জন্য আছে ২টি কাঠের ব্রিজ।

শিশুদের জন্য আছে মাঠে দোলনা ও স্লিপার এর ব্যবস্থা। প্রকৃতির সংস্পর্শে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরো রিসোর্ট সজ্জিত বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছ দ্বারা। বিশেষ করে পুকুরের চারপাশটায় সারি সারি নারিকেল ও সুপারি গাছগুলো রিসোর্টের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে তার নিজস্ব মাত্রায়।

দর্শনার্থীদের জন্য আছে বোটিং এর সুব্যবস্থা। সম্পূর্ণ নিরিবিলি এই রিসোর্টে আপনি চাইলেই করতে পারেন ফ্যামিলি সহ গেট টুগেদার, পিকনিক অথবা কর্পোরেট যেকোনো প্রোগ্রাম।

সারা দিন ও রাত্রি যাপনের জন্য এখানে আছে মোট ১৮টি কটেজ যা স্যুইট, ডিলক্স ও কটেজ দ্বারা বিভক্ত। অতিথিদের জন্য ৫ট সিঙ্গেল, ৪টি ডাবল ও ১টি স্যুইট রয়েছে এখানে। রাতের আঁধারে জোনাকির আলো ও ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শুনতে হলে রিসোর্টের কটেজের বিকল্প নেই।

সকলের জন্য আছে দেশি-বিদেশি শেপদের দ্বারা দেশি, থাই, কন্টিনেন্টাল ও চাইনিজ খাবারের সুব্যবস্থা। এখানকার রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ সর্বদা অতিথি সেবায় নিয়জিত থাকে। সম্প্রীতি এখানে নতুন করে দর্শনার্থীদের বিনোদনের অন্যতম আরেক উৎস সুইমিংপুল।

মাওয়া রিসোর্ট প্রবেশ ফি: প্রতিজনকে ৪০ টাকা দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।
খোলার সময়: সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০ টা মাওয়া রিসোর্ট খোলা থাকে।

মাওয়া রিসোর্ট কটেজ সম্পর্কিত তথ্য ও ভাড়া

রিসোর্টের মোট ১৮টি কটেজ রয়েছে যার মধ্যে ৫টি সিঙ্গেল, ৪টি ডাবল ও ১টি স্যুইট। কটেজগুলো সাধারণত ইটের দেয়াল হলেও এর ছাদ গুলো তৈরি করা হয়েছে গোলপাতা দিয়ে এবং বাঁশের চটা দিয়ে নানা নকশা করা সিলিং আপনাকে মুগ্ধ করবে। এক কথায় বলতে গেলে গ্রামীণ পরিবেশে আধুনিকতার ছোঁয়া!

অতিথিদের সুবিধার্থে ডে লং (সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) ও নাইট স্টে (দুপুর ১২টা থেকে পরদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত) এই দুইটি সিস্টেমে কটেজ ভাড়া দেওয়া হয়।

নিচে সকাল ৮টা থেকে ৬টা পর্যন্ত রুম ভাড়ার তালিকা
ইকোনোমি রুম (নন এসি) ,৩,০০০ টাকা।
এক্সিকিউটিভ রুম (নন এসি) তিন হাজার পাঁচশত টাকা।
ডিলাক্স রুম (এসি) ,৫,০০০ টাকা।
সুইট কটেজ (এসি) ১০,০০০ টাকা।
ডরমেটরি রুম (নন এসি) ১,৫০০ টাকা।

দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত রুম ভাড়ার তালিকা
ইকোনোমি রুম (নন এসি) ৩,৫০০ টাকা।
এক্সিকিউটিভ রুম (নন এসি) ৪,০০০ টাকা।
ডিলাক্স রুম (এসি) ,৫,০০০ টাকা।
সুইট কটেজ (এসি) ১২,০০০ টাকা।
ডরমেটরি রুম (নন এসি) ২০০০ টাকা

কটেজ বুকিং ও রিসোর্ট সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানতে সরাসরি যোগাযোগ করুন
মাওয়া রিসোর্ট, কান্দিপাড়া রোড, মাওয়া, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা।
মোবাইলঃ 01711057947, 01755592585, 01755592584
Emai: info@mawaresort.com
Website: www.mawaresort.com
Facebook page: www.facebook.com/mawaresortbd

মাওয়া রিসোর্ট কিভাবে যাবেন

নিজস্ব ব্যক্তিগত গাড়ি থাকলে খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারেন মাওয়া রিসোর্ট থেকে। সেক্ষেত্রে আপনি প্রথমে মাওয়া গোলচত্বরের ডান দিকে যেয়ে দুই কিলোমিটার এগিয়ে লৌহজং পুলিশ ফাঁড়ির কাছে পুরনো ফেরি ঘাটের পাশে মাওয়া রিসোর্টে চলে আসতে পারেন অতি অল্প সময়ে। সেক্ষেত্রে আপনাকে দুই জায়গায় ৩০ টাকা করে মোট ৬০ টাকা টোল দিতে হবে। লৌহজং থানার সামনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে।

অথবা আপনি যদি বাসে করে যেতে চান তাহলে ঢাকার গুলিস্তান থেকে মাওয়াগামী যেকোনো বাস যেমন ইলিশ পরিবহন বা গাঙচিল, মিরপুর ১০, ফার্মগেট, শাহবাগ থেকে স্বাধীন পরিবহনে ভাড়া ৭০ টাকা যোগে চলে আসতে পারেন লৌহজং থানা মসজিদ ঘাট পর্যন্ত। এরপর রিক্সা অথবা অটো রিক্সায় করে ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে আপনি পৌঁছে যাবেন মাওয়া রিসোর্ট।

অন্যথায় আপনি গ্রেট বিক্রম পরিবহন বা গোধূলি পরিবহনে করে প্রথমে মাওয়া ঘাট পর্যন্ত যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাওয়া ফেরি ঘাট যাওয়ার পূর্বে লৌহজং থানা দিয়ে যাওয়ার পথে আপনাকে চৌরাস্তায় নামতে হবে। সেখান থেকে রিক্সা বা অটোতে মাত্র ১৫মিনিটের মধ্যে আপনি পৌঁছে যাবেন প্রকৃতির সংস্পর্শে এই মাওয়া রিসোর্টে।