সমাধিসৌধটি নির্মাণের জন্য শায়েস্তা খান জয়পুর, চুনার, গয়া ইত্যাদি স্থান থেকে মূল্যবান পাথর আনান। তিনি পাথর ও চন্দন কাঠ ব্যবহার করে যে সৌন্দর্য নির্মাণ করেন তা আজো অমলিন রয়েছে। পাতলা ইট দিয়ে তৈরী দূর্ভেদ্য দুর্গ দেয়াল ছিল কামানের গোলা প্রতিরোধী। দুর্গের মাঝখানে রয়েছে হাম্মামখানা। এটি দ্বিতলবিশিষ্ট। দ্বিতীয় তলায় সুবেদার বসবাস করতেন। নিচতলা গোসল ও আরাম আয়েসের জন্য ব্যবহ্রত হত। দুর্গের দক্ষিণ গেটে সুদৃশ্য মিনার রয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় ঘেষে নির্মিত দক্ষিণ প্রাচীরটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নদী পথে যাতে বিহ-শত্রু বা জলদস্যুরা আক্রমণ করতে না পারে সে জন্য দুর্গ প্রাচীরে সৈন্য মোতায়েনের সুবিধা সৃষ্টি করা হয়। দুর্গ থেকে বুড়িগঙ্গা নদীতে যাবার অনেকগুলো গোপন পথ ছিল। অনেকে মনে করেন এ দুর্গ থেকে গোপন পথে বুড়িগঙ্গা পার হয়ে জিঞ্জিরা দুর্গে যাওয়া যেতো।
দুর্গের পশ্চিম পাশের দেয়াল ঘেষে উত্তর-দক্ষিণে লম্বা আয়তক্ষেত্রাকার একটি সুদৃশ্য মসজিদ রয়েছে। সুবেদার আজম কর্তৃক নির্মিত এই মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট। চারকোণে আছে চারটি অর্ধভূজাকৃতির মিনার। মসজিদটি মোঘল স্থাপত্যরীতিতে তৈরী।
লালবাগ কেল্লা কিভাবে যাবেন
লালবাগ কেল্লায় যেতে হলে, ঢাকার গুলিস্তান গোলাপ শাহ্ এর মাজার থেকে লেগুনাযোগে মাত্র ১০ টাকায় যাওয়া যাবে লালবাগ কেল্লায়। ইসলামবাগ ও কিল্লার মোড়গামী দু'ধরনের লেগুনা দিয়ে দিন রাত সব সময় যাওয়া যায় লালবাগ কেল্লায়। এছাড়াও নিউমার্কেট কিংবা গুলিস্তান এলাকা থেকে সরাসরি রিক্সায় যাওয়া যায়।