বাংলার ইতিহাসের প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁয়ের নির্মিত হয়েছে ভারতের আগ্রার তাজমহলের আদলে বাংলার তাজমহল। যা বিশ্বের ২য় তাজমহল। প্রাচীন যুগ ও মধ্যযুগে পৃথিবীতে নির্মিত অতি আশ্চর্যের সাতটি জিনিসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মিসরের রাজা বাদশাহদের মমি ও ভারতের মোগল সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজ বেগমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত আগ্রার তাজমহল। মমি আর তাজমহলের আদলে এ স্থাপনাগুলো নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মুক্তিযোদ্ধা আহসানউল্লাহ মনি নিজ গ্রাম পেরাবতে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্বে পেরাব, সোনারগাঁয়ে অবস্থিত। এটি প্রকৃত তাজমহলের একটি হুবহু নকল বা রেপ্লিকা। এটি ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং এটি তৈরি করতে মাত্র ৫ বছর এবং ৫৮ মিলিয়ন খরচ হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানউল্লাহ মনি ১৯৮০ সালে ভারতের আগ্রায় সত্যিকারের তাজমহল পরিদর্শন করার সময় তার মাথায় ২য় তাজমহল (বাংলার তাজমহল) এই ধারণাটি এসেছিলেন। ২০০৩ সালে এর কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বেশ ঘটা করে এর উদ্বোধন করা হয়। সুলতানি আমলের প্রসিদ্ধ সুলতান গিয়াসউদ্দীন আযম শাহ আর বারো ভূঁইয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর ঈশা খাঁর রাজধানীখ্যাত সোনারগাঁয়ের এ আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বাংলার তাজমহল এখন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। প্রায় ১৮ বিঘা জায়গার উপর স্থাপিত এই বাংলার তাজমহল । তবে আশপাশে পর্যটনের জন্য প্রায় ৫২ বিঘা জায়গা সংরক্ষিত রয়েছে।
বাংলার তাজমহল আগ্রার তাজমহলের মডেলেই তৈরী করা হয়েছে। তাজমহলের মূল ভবন স্বচ্ছ ও দামি পাথরে মোড়ানো। এর অভ্যন্তরে আহসানউল্লাহ্ মনি ও তার স্ত্রী রাজিয়া দুজনের সমাধির স্থান রক্ষিত আছে। চার কোণে চারটি বড় মিনার, মাঝখানে মূল ভবন, সম্পূর্ণ টাইলস করা। সামনে পানির ফোয়ারা, চারদিকে ফুলের বাগান, দুই পাশে দর্শনার্থীর বসার স্থান।
রুট ২: ঢাকা থেকে ৩০০ ফিট রাস্তা দিয়ে ভূলতা বাসস্ট্যান্ড এসে, সেখান থেকে ৮০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়ায় অটোরিক্সা নিয়ে তাজমহল যাওয়া যায়।
রুট ৩: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভৈরব, নরসিংদী কিংবা কিশোরগঞ্জগামী বাসে বরপা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে, বরপা বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএসজিতে অথবা অটোতে করে তাজমহল দেখতে যেতে পারবেন।
⦿ ছুটির দিন গুলোতে তাজমহলে লোক সমাগম বেশি হয়। ভীর এড়াতে ছুটির দিনগুলো বাদে অন্য দিন গুলােতে যেতে পারেন।
বাংলার তাজমহল
সম্রাট শাহজাহানের অনুপম ভালোবাসার নিদর্শন আগ্রার তাজমহল। ভালোবাসার অমর নায়ক হিসেবে মধ্যযুগে পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি স্থাপনা রচিত হয়েছিল তার হাত দিয়ে। স্ত্রী মমতাজের ভালোবাসায় সিক্ত সম্রাট ভালোবাসার পিয়াসুদের কাছে আজও অমর। যাদের সাধ্য নেই ভারতে গিয়ে আগ্রার তাজমহল দেখার অথচ মনের কোণে ইচ্ছা লুকিয়ে আছে, তাদের মনের ইচ্ছা কিছুটা হলেও লাঘব হবে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের অন্তর্গত জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামে নির্মিত বাংলার তাজমহল দেখে।বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানউল্লাহ মনি ১৯৮০ সালে ভারতের আগ্রায় সত্যিকারের তাজমহল পরিদর্শন করার সময় তার মাথায় ২য় তাজমহল (বাংলার তাজমহল) এই ধারণাটি এসেছিলেন। ২০০৩ সালে এর কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বেশ ঘটা করে এর উদ্বোধন করা হয়। সুলতানি আমলের প্রসিদ্ধ সুলতান গিয়াসউদ্দীন আযম শাহ আর বারো ভূঁইয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর ঈশা খাঁর রাজধানীখ্যাত সোনারগাঁয়ের এ আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বাংলার তাজমহল এখন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। প্রায় ১৮ বিঘা জায়গার উপর স্থাপিত এই বাংলার তাজমহল । তবে আশপাশে পর্যটনের জন্য প্রায় ৫২ বিঘা জায়গা সংরক্ষিত রয়েছে।
বাংলার তাজমহল আগ্রার তাজমহলের মডেলেই তৈরী করা হয়েছে। তাজমহলের মূল ভবন স্বচ্ছ ও দামি পাথরে মোড়ানো। এর অভ্যন্তরে আহসানউল্লাহ্ মনি ও তার স্ত্রী রাজিয়া দুজনের সমাধির স্থান রক্ষিত আছে। চার কোণে চারটি বড় মিনার, মাঝখানে মূল ভবন, সম্পূর্ণ টাইলস করা। সামনে পানির ফোয়ারা, চারদিকে ফুলের বাগান, দুই পাশে দর্শনার্থীর বসার স্থান।
তাজমহলের ভেতর কি কি রয়েছে
তাজমহলের মূল স্থাপনা ছাড়াও এখানে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রাজমনি ফিল্ম সিটি, রেস্তোরাঁ, উন্নতমানের খাবার-দাবারের পাশাপাশি, যারা গ্রুপে বা পিকনিকে আসতে চান তাদের জন্য ও ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে রাজমনি ফিল্ম সিটি স্টুডিও। ইচ্ছা করলে যে কোনো দর্শনার্থী এখানে ছবি উঠাতে পারবেন। তাজমহলকে ঘিরে বাইরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন হস্তশিল্পসামগ্রী, জামদানি শাড়ি, মাটির গহনাসহ আরও অন্য পণ্য। তাজমহলের পূর্বপাশে রয়েছে বাংলার মিরামিড।তাজমহল সাপ্তাহিক বন্ধ
বাংলার তাজমহল সপ্তাহের প্রতিদিনই খোলা থাকে।সময়সূচী ও টিকেট মূল্য
বাংলার তাজমহল প্রতিদিনই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তাজমহল ও পিরামিডের প্রবেশ মূল্য একসাথে পরিশোধ করেত হয়। শুধুমাত্র তাজমহল বা পিরামিড দেখার সুযোগ নাই। জনপ্রতি প্রবেশ টিকেটের মূল্য ১৫০ টাকা।এই টিকেট দিয়ে বাংলার মিরামিড দেখতে পারবেন।বাংলার তাজমহল কিভাবে যাবেন
রুট ১: ঢাকা থেকে বাংলার তাজমহলের দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলোমিটার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে যাওয়া কুমিল্লা দাউদকান্দি অথবা সোনারগাঁগামী বাসে চড়ে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে নামতে হবে, সেখান থেকে সিএনজি অথবা অটোরিক্সায় জনপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা ভাড়ায় তাজমহল যাওয়া যায়। ঢাকার গুলিস্তান থেকে দোয়েল অথবা স্বাদেশ পরিবহনে যেতে পারেন মদনপুর বাসস্ট্যান্ড, ভাড়া পরবে ৬০ টাকা।রুট ২: ঢাকা থেকে ৩০০ ফিট রাস্তা দিয়ে ভূলতা বাসস্ট্যান্ড এসে, সেখান থেকে ৮০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়ায় অটোরিক্সা নিয়ে তাজমহল যাওয়া যায়।
রুট ৩: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভৈরব, নরসিংদী কিংবা কিশোরগঞ্জগামী বাসে বরপা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে, বরপা বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএসজিতে অথবা অটোতে করে তাজমহল দেখতে যেতে পারবেন।
ভ্রমণকালে পরামর্শ
⦿ ১৫০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে প্রবেশ করা পর বাকি অংশ ফেরত দিবে, টিকেটের বাকি অংশ ফেলে দিবেন না, সেটা দিয়ে দেখিয়ে পিরামিডে প্রবেশ করতে পারবেন।⦿ ছুটির দিন গুলোতে তাজমহলে লোক সমাগম বেশি হয়। ভীর এড়াতে ছুটির দিনগুলো বাদে অন্য দিন গুলােতে যেতে পারেন।
তাজমহলের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
▢ সোনারগাঁও লোক শিল্প জাদুঘর
▢ বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি
▢ মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি
▢ জ্যৌতি বসুর বাড়ি
▢ সাতগ্রাম জমিদার বাড়ি
▢ বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি
▢ মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি
▢ জ্যৌতি বসুর বাড়ি
▢ সাতগ্রাম জমিদার বাড়ি