সেগুলো হল- শ্রীপুর চা-বাগান ঝর্ণা, শ্রীপুর মরা ঝর্ণা এবং খড়মপুর আদুরী ঝর্ণা। সবুজ শ্যামল গাছ-গাছালি এবং ছোট বড় পাহাড় টিলা বেষ্টিত এলাকার উপজেলার শ্রীপুরের খড়মপুর গ্রামে অবস্থিত ‘আদুরী ঝর্ণা’।
সম্প্রতি এই তিনটি ঝর্ণার মধ্যে শ্রীপুর চা-বাগান ঝর্ণা এবং খড়মপুর আদুরী ঝর্ণার ছবি স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীরা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে পোস্ট করায় ভ্রমণ প্রেমীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ জাগিয়েছে স্পটগুলো। গ্রামবাসী ও বাগান শ্রমিক ব্যতীত অন্য কেউ জানে না। হাতে গোনা কিছু পর্যটক যাচ্ছেন সেখানে। তবে ঝর্ণাগুলোর অবস্থানে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে লোক চক্ষুর অন্তরালে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কমবেশি সারা বছর খড়মপুর আদুরী ঝর্ণায় পানি প্রবাহ থাকে। বর্ষায় এর প্রবাহ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন আদুরী ঝর্ণার পানি নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে আসছে। মাঝে মধ্যে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কিছু পর্যটক সেখানে ঘুরতে যায়। বাড়ির পাশে এই ঝর্ণার কথা জানানে না আনেকেই। ঝর্ণাগুলো যদি প্রশাসনিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় তাহলে এলাকাবাসীর প্রয়োজনের পাশাপাশি সিলেটের পর্যটন খাত পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে।
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর নামক স্থান থেকে ১ কিলোমিটার পূর্ব উত্তর দিকে চা বাগানের শেষ প্রান্তে খড়মপুর নামক স্থানে এই আদুরী ঝর্ণার অবস্থান। সিলেট জাফলং রোড থেকে শ্রীপুর হয়ে পায়ে হেঁটে মাত্র ৫ মিনিট অতিক্রম করলেই দেখা মিলবে আদুরির। অত্যন্ত প্রাকৃতিক নিরিবিলি পরিবেশে জনমানব শূন্য এলাকায় ১০-১৫ ফুট উপর থেকে অবিরাম নেমে আসছে স্বচ্ছ পানির নহর।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া জানান, জৈন্তাপুর ইউনিয়নে ঝর্ণার বিষয়টি কয়েকদিন আগে জেনেছি। সেটার বিষয়ে আরও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। পর্যটন উপযোগী হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মাধ্যমে ঝর্ণাগুলোকে পর্যটনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করব।