বালাপুর জমিদার বাড়ি ১০৩টি কক্ষ বিশিষ্ট একটি বড় বাড়ি। এখানে আপনি উত্তর পাশে একটি একতলা ভবন, দক্ষিণ পাশে একটি দ্বিতল ভবন, পূর্ব পাশে একটি তিনতলা ভবন এবং পশ্চিম পাশে একটি দ্বিতল ভবন দেখতে পাবেন। মেঝেতে মোজাইক এবং টাইলসের ব্যবহার থেকে বোঝা যায় সেই সময় বাড়িটি কতটা বিলাসবহুল ছিল। দরজা এবং জানালা ফুল এবং পাতা সহ বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর কারুকাজ দিয়ে সজ্জিত। এই জমিদার বাড়ির প্রতিটি ভবনই মনোমুগ্ধকর কারুকার্য শোভিত।
জমিদার বাড়ির পশ্চিমে রয়েছে তিনটি শান বাঁধানো পুকুর ঘাট। সুন্দর কারুকাজ করা দুর্গা পূজা মন্ডপ এই জমিদারবাড়ির আভিজাত্য ও জাঁকজমক দেখায়। বাড়ির দুটি মন্দির আজও অতীতের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে সময় অতিথিদের থাকার জন্য আরেকটি সুন্দর ভবন ছিল। এই জমিদার বাড়ির পাশে, আপনি ১৯১৩ সালে নির্মিত ঐতিহ্যবাহী বালাপুর নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় দেখতে পাবেন। এই বিদ্যালয়ের সামনে একটি বড় খেলার মাঠ রয়েছে। বাড়ি থেকে মেঘনা নদী কিছুটা দূরে। জনশ্রুতি আছে, ভারতের কলকাতা থেকে একটি জাহাজ একবার এই ঘাটে খালাস করেছিল। তাই জায়গাটিকে এখন স্টিমারঘাট বলা হয়।
এই জমিদার বাড়ি ঘুরা শেষ হলে ১০-১৫ মিনিট হাটার পর পেয়ে যাবেন মেঘনা বাজার। সেখান থেকে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই পেয়ে যাবেন বিশাল মেঘনা নদী। চাইলে নৌকা নিয়েও ঘুরে বেড়াতে পারেন মেঘনার বুকে।
যারা ব্যস্ততার কারণে দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন না তারা ছুটির দিনে একদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার খুব কাছেই নরসিংদীর বালাপুর জমিদার বাড়ি থেকে। পরিবার বন্ধুবান্ধবসহ কাটিয়ে আসতে পারেন একটি দিন প্রাচীন ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সঙ্গে। শত শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই জমিদার বাড়িটির কারুকার্যময় ও নান্দনিক সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।