মানা বে ওয়াটার পার্ক সম্পূর্ণ ব্রিটিশ মালিকানাধীন এবং এসিএস টেক্সটাইল দ্বারা পরিচালিত এবং প্রকল্পটি কে বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে রাইড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হোয়াইট ওয়াটার। মাসুদ দাউদ আকবানি বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।
মানা বে ওয়াটার পার্ক
৬০,০০০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, ওয়াটার পার্ক দর্শকদের একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা প্রদান এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখন পর্যন্ত ১৭ টি রাইড আছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ওয়াটার স্লাইড ট্যুর, ওয়েভ পুল এবং ফ্লোরিডার ডাবল। পার্কে বাচ্চাদের জন্য আলাদা জোন এবং একটি কৃত্রিম নদী ব্যবস্থা রয়েছে। ভবিষ্যতে আরো রাইড যোগ করা হতে পারে। ওয়াটার পার্কে আপনার একটি অসাধারন অভিজ্ঞতা হবে। পার্কটি সম্পূর্ণ ধূমপান মুক্ত, একবারের জন্য হলেও এইপার্কিটি ঘুরে আসেত পারেন। আপনি নিরাপদে আপনার বন্ধুদের সাথে যেতে পারেন, এছাড়াও রয়েছে চমৎকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সময়সূচী
পর্যটন কেন্দ্র মানা বে ওয়াটার পার্ক প্রতিদিন খোলা থাকে। শুক্র, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
মানা বে প্রবেশ টিকেট মূল্য
বড়দের টিকেট মূল্য: ৬ হাজার টাকা (উচ্চতা ৪ ফুটের উপরে), শিশুদের টিকেট মূল্য: ৩ হাজার টাকা (৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা), শিশুদের টিকেট মূল্য: সম্পূর্ণ ফ্রি (উচ্চতা ৩ ফুটের নিচে হতে হবে), টিকেটেই সকল রাইডের ফি সহ মূল্য নির্ধারিত। আলাদাভাবে রাইডের জন্যে টিকেট কাটতে হবেনা। পার্কে প্রবেশ করে ১৭ টি রাইড সারাদিন এর জন্যেই ফ্রি থাকবে।
কোথায় টিকেট পাবেন
অনলাইনে টিকিট করার জন্যে আছে মানা বে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.manabay.com
আপনার নাম, ইমেইল এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে অনলাইনে টিকেট কাটতে পারবেন। পেমেন্ট করতে পারবেন মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। এছাড়া অন স্পটে গিয়েও টিকেট করা যাবে। মানা বে এর গুলশান অফিস থেকেও অগ্রিম টিকেট করা যাবে।
মানা বে কিভাবে যাবেন
মানা বে ওয়াটার পার্ক মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পাশেই ঢাকা থেকে যাবার পথে মেঘনা ব্রিজের পরেই এর অবস্থান। ঢাকা থেকে মানা বে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূ্রে অবস্থিত। ঢাকা থেকে বাসে বা নিজস্ব গাড়িতে করে যেতে পারবেন। দেশের যেকোন স্থান থেকে বাসে আসতে পারেন। পার্কটিতে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা আছে।
কোথায় খাবেন
টিকিটের মূল্যে খাবার অন্তর্ভুক্ত নয় এই পার্কে, তাই কিছু খেতে চাইলে নিজ খরচে কিনতে হবে। পার্কেই একটি রেস্টুরেন্ট আছে। রেস্টুরেন্ট থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী খাবার কিনতে পারেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
মানা বে তে রয়েছে চমৎকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখানে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। কোন ধরনের ছিনতাই, ইভটিজিং নিয়ে আপনাকে টেনশন করতে হবে না। এছাড়া পর্যটকদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা রয়েছে।
ভ্রমণকালে সতর্ক ও পরামর্শ
⦿ রাইডে চড়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
⦿ বাচ্চাদের দিকে খেয়াল রাখুন।
⦿ অনুমতি ছাড়া ছবি তুলবেন না বা ভিডিও ধারণ করবেন না।
⦿ রাইড এর পানি পান করবেন না।
⦿ ময়লা আবর্জনা দিয়ে পরিবেশ নোংরা করবেন না।
⦿ বাচ্চাদের নিয়ে রাইডিং এর সময় সতর্ক থাকবেন।
⦿ জোরে শব্দ বা জোরে জোরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
⦿ যে কোন প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিন।
মানা বে: হেড অফিস
14th Floor, Sanmar Tower-2,
Gulshan 2, Dhaka 1212
মানা বে যোগাযোগ নাম্বার: 09606-889999
ইমেইলঃ info@manabay.com
ওয়েবসাইটঃ www.manabay.com
ফেসবুক পেইজঃ www.facebook.com/manabaybd
ভ্রমণ জিজ্ঞাসা
মানা বে এর প্রবেশ মূল্য কত?
মানা বে প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক এর প্রবেশ মূল্য: বড়দের টিকেট মূল্য: ৬ হাজার টাকা (উচ্চতা ৪ ফুটের উপরে), শিশুদের টিকেট মূল্য: ৩ হাজার টাকা (৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা), শিশুদের টিকেট মূল্য: সম্পূর্ণ ফ্রি (উচ্চতা ৩ ফুটের নিচে হতে হবে)।
মানা বে এর মালিক কে?
এসিএস টেক্সটাইল
মানা বে কবে বন্ধ থাকে?
পর্যটন কেন্দ্র মানাবে ওয়াটার পার্ক প্রতিদিন খোলা থাকে। শুক্রবার, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সপ্তাহের বাকি দিন গুলো সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা আছে কি?
হ্যাঁ আছে।
যোগাযোগ নাম্বার আছে কি?
মানা বে যোগাযোগ নাম্বার: ০৯৬০৬-৮৮৯৯৯৯
রাইড সংখ্যা কয়টি?
বর্তমানে ১৭ টি রাইড রয়েছে।
মানা বে কোথায় অবস্থিত?
মানা বে ওয়াটার পার্ক বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র এবং প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক। ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সাল এ উদ্বোধনের পর থেকেই এখানে পর্যটক এর প্রচুর ভিড় লেগে থাকে।
মানা বে কোথায় খাবো?
মানাবে -তে টিকেট প্রাইসের সাথে খাবারের খরচ অন্তর্ভূক্ত নয়! তাই কিছু খেতে চাইলে নিজ খরচে কিনে খেতে হবে আপনাকে। পার্কেই রেস্টুরেন্ট আছে। রেস্টুরেন্ট থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী খাবার কিনে খেতে পারবেন।