নগরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সম্পূর্ণ গ্রামীণ জগতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঢাকার পাশে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানায় নগরভেলা গ্রামে পর্যটকদের একটি বিনোদন কেন্দ্র এই মেঘ বাড়ি রিসোর্ট। মেঘবাড়ি রিসোর্ট ঢাকার কাছেই দারুন একটি রিসোর্ট। শহরের যান্ত্রিক কোলাহল থেকে নিজেকে বা পরিবার কিংবা বন্ধদের সাথে নিরিবিলি সময় কাটাতে চাইলে যেতে পারেন মেঘবাড়ী রিসোর্টে। পুরো একটা দিন কাটানোর মত একটি জায়গা। তবে চাইলে রাত্রীযাপন ও করতে পারেন সে সুব্যবস্থা ও রয়েছে সেখানে।
গ্রামীন সবুজ পরিবেশ, সুইমিং পুলে সাতার কাটা কিংবা উচু টিলায় বসে কফি পেয়ালায় চুমুক দিয়ে পাখির চোখে পুরো যায়গাটা একনজরে দেখায় কোন কিছূতেই ক্লান্ত লাগবে না। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে বিনোদনের আলাদা ব্যবস্থা। দোলনা, স্লিপার সহ মজার মজার সব খেলার ব্যবস্থা। সবকিছু মিলিয়ে মেঘবাড়ী রিসোর্ট অবসর যাপনের একটি চমৎকার জায়গা।
বিনোদনের জন্য যে সকল ব্যবস্থা রয়েছে মেঘবাড়ি রিসোর্টে
সুইমিংপুল
এই রিসোর্টটিতে আছে একটি সুইমিংপুল। যারা শুধু রিসোর্টে থাকবেন তারাই নন, বরং যারা দিনে গিয়ে দিনে ঘুরে আসতে চান তারাও সুইমিংপুল ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
পার্ক
শিশুদের খেলার জন্য আছে সুন্দর পার্কের ব্যবস্থা। কিছু প্রতিকী পশু ও নির্মাণ করা হয়েছে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। শুধু শিশুরা নয় চাইলে সবাই পার্কের দোলনায় দোল খেতে পারবেন।
কনভেনশন সেন্টার
বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিন কিংবা যেকোনো আয়োজনের জন্য আছে একটি কনভেনশন সেন্টার।
বর্ষাকালে নৌকা ভ্রমণ
বর্ষাকালে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ নিতে তার ব্যবস্থাও করা আছে এই রিসোর্টটিতে। যারা নৌকায় চড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য এটি অনেক আকর্ষনীয়।
বারবিকিউ
বর্তমানে বারবিকিউ আমাদের কাছে খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ঘুরতে গেলে সন্ধ্যার দিকে বারবিকিউ-এর এক আলাদা আনন্দ আছে। তাই সেই দিকটা চিন্তা করে এই মেঘ বাড়ি রিসোর্টেও করা হয়েছে বারবিকিউ করার সুযোগ।
ক্যান্টিন
অতিথিদের জন্য আছে খাবার ক্যান্টিন। বাইরের খাবার নেয়ার কিছুটা নিষেধাজ্ঞা আছে রিসোর্টে, তাই পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে পার্কেই ব্যবস্থা করা হয়েছে খাবার ক্যান্টিনের।
এছাড়াও পার্কটি সাজানো হয়েছে বেশ সুন্দর করে। সবুজ গাছপালা, লতায় মোড়ানো ছোট ছোট গেট, বাহারি পাতা বাহারের গাছ ইত্যাদি দিয়ে বেশ সুনিপুনভাবে সাজানো হয়েছে রিসোর্টটিকে। এখানে আপনি রেইন ফরেস্ট এর আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
মেঘবাড়ি রিসোর্টে রুম ভাড়া
এই রিসোর্টে আছে বেশ কয়েক রকমের কটেজ। সুবিধা অনুযায়ী আছে ভাড়ার পার্থক্য। আবার প্রয়োজনে ভাড়া নেয়া যাবে পুরো রিসোর্ট ।
ডিলাক্স রুম
ভাড়া ৬,০০০ টাকা প্রতি রাতের জন্য।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তি ৩ জন এবং শিশু ১ জন থাকতে পারবে।
স্ট্যান্ডার্ড রুম
ভাড়া: ৩,০০০ টাকা প্রতি রাতের জন্য।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তি ২জন এবং শিশু ১ জন থাকতে পারবে।
ডে আউট রুম
ভাড়া: ৪,০০০ টাকা।
সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবে একটি রুমে।
চেক ইন: দুপুর ১২টা; চেক আউট : সন্ধ্যা ৬টা;
নাইট স্টে কটেজ রুম
ভাড়া: ৬,০০০ টাকা
চেক ইন: রাত ১২টা; চেক আউট : সকাল ১১টা
সর্বোচ্চ ৩ জন থাকা যাবে।
২ জনের জন্য ১ বার সুইমিংপুল ও ব্রেক ফাস্টের ব্যবস্থা।
নন এসি রুম
নাইট স্টে
ভাড়া: ৩,০০০ টাকা
ডে স্টে: ভাড়া: ২,০০০ টাকা
এন্ট্রি ফি: ১০০ টাকা
সুইমিংপুল এন্ট্রি: ৩০০ টাকা
সাধারণের জন্য পরিদর্শন সময়: সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৬টা।
যারা রুমে থাকবেন/রিসোর্টে থাকবেন
রাতে যারা থাকবেন তাদের জন্য ১ বার দুই জনের সুইমিংপুল এন্ট্রি ফ্রি। যারা রাতে থাকবেন তাদের জন্য সুইমিংপুলের শেষ সময় রাত ৯ টা। সকালের নাস্তা সময়: সকাল ৮-১০ টা, রাতের খাবারের শেষ সময়-১০ টা
পিকনিকের ব্যবস্থা
পরিবার বা বন্ধদের নিয়ে করা যেতেপারে পিকনিকের আয়োজন। মেঘবাড়ী রিসোর্ট এ রয়েছে গেট লক সার্ভিস। মিনিমাম ১২ জনের একটি গ্রুপ পিকনিক করা যায়। তাতে জন প্রতি খরচ পড়বে ২৪০০ টাকা আর ৪ থেকে ৮ বছরের শিশুদের জন্য জনপ্রতি লাগবে ২০০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে এন্ট্রি ফি থাকছে নাসেই সাথে যেসকল সেবা পাবেন তা হল সুইমিং পুল, একটি এসি ডিলাক্স রুম, সকালের নাস্তা, লাঞ্চ আর বিকেলের নাস্তা। যদি ৫০০ জন অতিথির পিকনিকের আয়োজন করা হয় তাহলে ভাড়া দিতে হবে ৩ লক্ষ টাকা আর ১০০০ জনের জন্য দিতে হবে ৪ লক্ষ টাকা।
সেক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ আর ভ্যাট আলাদা। এক্ষেত্রে আপনি পাবেন পুরো গেট লক সার্ভিস।
খবারের ব্যবস্থা
মেঘবাড়ি রিসোর্টে আগত সকল অতিথীদের জন্য রয়েছে তিন বেলা ভালো খাবার ব্যাবস্থা, সকালের নাস্তায় পাবেন- পরটা/ লুচি, ডাল চিকেন কারি, ডিম ভাজি, চা/ কফি, খাবার পানি। দুপুরের লাঞ্চে পাবেন- সাদা ভাত, সবজি, ভর্তা, চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোস্ট, গরুর মাংস ভুনা, ডাল মাখনি, নুডলস, মিষ্টান্ন, কোমল পানীয়, খাবার পানি।বিকালের নাস্তায় পাবেন - ভাপা পিঠা, পাকোড়া/ রেশমি জিলাপী, চটপটি, ফুচকা, সিঙ্গারা/ সমুচা, চা/কফি, খাবার পানি।
মেঘবাড়ি রিসোর্ট কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে ৩০ মিনিটের পথ এটি। কুড়িল বিশ্বরোড হতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশ দিয়ে অথবা কাঞ্চন ব্রিজের তিনশো ফুট রাস্তা ধরে মীরের বাজার নামতে হবে। সেখান থেকে উলুখোলা ব্রিজের কিছুটা আগে হাতের বাম দিকের রাস্তা ধরে মিনিট দশেক এগুলেই মেঘ বাড়ি রিসোর্টে পৌঁছে যাবেন।
উত্তরা আব্দুল্লাহপুর থেকে বেড়িবাধ দিয়ে টেম্পুতে তেরমুখ যেতে হবে। ভাড়া অটোতে ২০ টাকা নিবে। আর তেরমুখ থেকে অটোতে মাত্র ১০ টাকা ভাড়ায় আপনি পৌঁছে যাবেন মেঘ বাড়ি রিসোর্ট।
টংগী রেলস্টেশনের মীরের বাজার, সেখান থেকে উলখোলা ব্রিজ পার করে যেতে হবে ডান দিকের ঢালু পথে। সময় লাগে ৩০ মিনিটের মতো। সিএনজি ভাড়া নিবে প্রায় ২০০ টাকা।
যোগাযোগ
নগরভেলা গ্রাম, উলুখোলা, গাজীপুর
মোবাইল:+৮৮০১৭১৩-২৬৫৮৬৯
Website: http://meghbari.com
Email: info@meghbari.com
আরো দেখুন
গাজীপুরের আরো জনপ্রিয় রিসোর্ট সম্পর্কে জানতে, ভিজিট করুন: ছুটি রিসোর্ট, পদ্মা রিসোর্ট, রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট, ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট, ভাওয়াল রিসোর্ট এন্ড স্পা, নক্ষত্রবাড়ি রিসার্ট, সোহাগ পল্লী পার্ক ও রিসোর্ট।