পার্কের প্রবেশ মুখেই নানান জাতের গাছগাছালি দিয়ে সুন্দর করে সাজানো নার্সারি। সেখান থেকে চাইলে গাছের চারাও সংগ্রহ করতে পারবেন। তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্কে বিভিন্ন রাইডের মধ্যে আছে রোলার কোষ্টার, মেরি গো রাউন্ড, মনোরেল, ওয়াটার প্লে গ্রাউন্ড, ওয়ান্ডার হুইল, হানিসুইং, বৈদ্যুতিক মিনি ট্রেন, সোয়ান অ্যাডভেঞ্চার, ফ্রগ হুপার, স্পেস শাটল, প্যারাট্রুপার, কিডস রাইড এবং নাগরদোলা। আরো আছে দেশি ও চাইনিজ খাবারের রেস্টুরেন্ট, ওয়াটার প্লে গ্রাউন্ড। সাঁতার কাটার জন্য ভেতরে আছে সুইমিংপুল যেখানে জনপ্রতি ঘণ্টার ২০০ টাকা খরচ করে সাতার কাটা যায়। যাঁরা শুধু সাঁতার কাটতে পার্কে প্রবেশ করবেন, তাঁদের প্রবেশমূল্যে ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
তুরাগ নদীর পাড় ঘেঁষে এ পার্ক গড়ে ওঠায় এখানে তুরাগের মনোরম দৃশ্যের পাশাপাশি ফুরফুরে বাতাস ও পাওয়া যায়। নদীর ধারে বসে গল্প করে সময় কাটানোর জন্য আছে ডালিয়া, সূর্যমুখী, রজনীগন্ধা সহ বিভিন্ন বাহাড়ী নামের টং বা ছাউনির নিচে বসার ব্যবস্থা।
হৈ হুল্লোড় করে কিংবা নদীর ধারে বসে প্রকৃতির ছবি আকঁতে আকঁতে মনের অজান্তে ক্ষুধা লেগে গেলেও কোন সমস্যা নেই এখানে উদরপূর্তির জন্য আছে আধুনিক মানের রেস্তোরাঁ যেখানে সকাল ও বিকালের নাস্তার সাথে দুপুরের খাবারও পাওয়া যায়।
প্রবেশ ফি ও রাইড খরচ
তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্কে জনপ্রতি প্রবেশ টিকেটের মূল্য ৬০ টাকা। সুইমিং এন্ড ওয়াটার প্লে-গ্রাউন্ড টিকেট ৪০০ টাকা, রোলার কোষ্টার ১০০ টাকা, কিডস জোন ১০০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য প্রতিটি রাইডে চড়তে জনপ্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা লাগবে।কিভাবে যাবেন
ঢাকার যেকোন জায়গা থেকে মিরপুর ১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড কিংবা মাজার রোড নেমে রিকশায় চড়ে তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্কে যেতে পারবেন। পার্কের উদ্দেশে বেড়িবাঁধ সড়ক ধরে রিকশা এগোতে থাকলে নদীর ধারের পরিবেশ বেশ উপভোগ্য। আর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে লেগুনায় চড়ে নেভারল্যান্ড যেতে ১৫ মিনিটের মত সময় লাগে। ভাড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা (যদিও দূরত্ব হারে ভাড়া বেশি)।অথবা জাতীয় চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ভ্রমন শেষে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পশ্চিমে/ পিছনের দিকে বাহির হবার রাস্তা দিয়ে বেড়িবাঁধ গিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক দেখিয়ে দিবে।