ganga-vilas
ভারত সরকার উত্তর প্রদেশ থেকে আসাম নদীতে বিলাসবহুল প্রমোদতরী চালানো শুরু করতে যাচ্ছে। এটি হবে বিশ্বের দীর্ঘতম বিলাসবহুল নদী ভ্রমণ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম বিলাসবহুল প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’ চালু হবে। ১৩ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে ৪,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ভ্রমণপথের উদ্বোধন করবেন। গত সোমবার (২ জানুয়ারি, ২০২৩) উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভারতের অন্যতম প্রাচীন শহর বারাণসী থেকে ছেড়ে আসামের ডিব্রুগড় পর্যন্ত নৌবিহারটি বাংলাদেশ হয়ে চলবে। পুরো সফরে সময় লাগবে অন্তত ৫০ দিন, এর মধ্যে বাংলাদেশে কাটবে ১৫ দিন।

‘গঙ্গা বিলাস’র যাত্রাপথে পড়বে ভারত এবং বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট ২৭টি নদনদী। ভারত থেকে যাত্রা শুরুর পর দীর্ঘতম জলপথে সুন্দরবন কিংবা কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের মতো দর্শনীয় স্থান ছুঁয়ে যাবে এই তরী।


পর্যটকরা শুধু নৌযানেই থাকবেন তা কিন্তু নয়। তারা সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ, সোনারগাঁ, ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় পার্কসহ ৫০টির বেশি ঐতিহ্যবাহী স্থান দেখারও সুযোগ পাবেন

এই বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে একবারে ৮০ জন যাত্রী যাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য কর্তৃপক্ষ প্রমোদতারিতে আলাদা জায়গা নির্ধারণ করেছে। প্রমোদতারীর মধ্যে মোট ১৮টি কেবিন রয়েছে। এতে এলইডি টিভি থেকে শুরু করে সাজানো শৌচাগার, বারান্দাসহ থাকছে আরও অনেক কিছু।

এটি সরকারি উদ্যোগ হলেও এই প্রমোদতরী ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যে পুরো ভারতে এমন অনেক জলপথে পরিবহন ব্যবস্থা চালুর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।

গঙ্গা বিলাস ভ্রমণের জন্য মাথাপিছু টিকিটের মূল্য এখনও ঘোষণা করা হয়নি। পরিবহন এই জলযাত্রার মূল উদ্দেশ্য নয়। "গঙ্গা বিলাস" এর উদ্দেশ্য ভ্রমণ করা। তাই পর্যটকদের বিনোদনের জন্য সব রকম ব্যবস্থা এই প্রমোদতরীতে রাখা হয়েছে।
 

আরো দেখুন