কুড়িগ্রামের রাজারহাটের কুসবিহারের রাজা নর-নারায়ণের মৃত্যু হলে অর্থাৎ পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষার্ধে, মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে অনিরুদ্ধ অভিষেক করে, পাঙ্গা রাজ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। এ কারণে অনিরুদ্ধ পাঙ্গা রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা, পাঙ্গা রাজ্যটি প্রত্যন্ত মফঃস্বলে অবস্থিত থাকার কারণে তৎকালীন এই ক্ষুদ্র রাজ্যটির প্রতি অনেক ঐতিহাসিকের দৃষ্টি নিবদ্ধ হতে পারিনি। আর এ কারণেই পাঙ্গা রাজবংশের ইতিহাস সঠিক সন-তারিখ লিপিবদ্ধ পাওয়া যায়নি। ফলে পাঙ্গা রাজবংশের অনেক ঘটনা অপ্রকাশিত থেকে যায়। জমিদাররাণী লক্ষীপ্রিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর দত্তক পুত্র দেবেন্দ্র নারায়ন ‘কোঙর’ উপাধি ধারণ করে ইংরেজ আমলে জমিদারী পরিচালনা করেন । তাঁর সময়ই এই জমিদারী অবস্থার অধঃপতন ঘটতে থাকে, কালক্রমে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
বর্তমানে জমিদারের উত্তরসূরী কেউ কেউ জমিদার বসতভিটায় বাস করলেও অনেকেই ভারতে চলে যান এবং সেখানে নাগরিকত্ব পেয়ে বসবাস করছেন।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার আসাদগেট, কল্যাণপুর বা গাবতলি থেকে কুড়িগ্রামের বাসে উঠে বড়বাড়ী নামক জায়গায় নামতে হবে। বড়বাড়ী থেকে অটোরিক্সা বা ভ্যানে চড়ে যাওয়া যায়। বড়বাড়ীর অদূরে সেলিমনগর বাজার নামক জায়গায় এসে এবং সেখান থেকে উত্তর দিকে আধা মাইল হেঁটে বা ভ্যান-রিকশায় গিয়ে পাঙ্গা রানী লক্ষ্মীপ্রিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশেই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত (এখন শুধু পাঙ্গা জমিদার বাড়ির কাচারিঘর অবশিষ্ট আছে)। ঢাকা থেকে লালমনিরহাট আসলে, লালমনিরহাট থেকে আবার অটোরিকশা করে বড়বাড়ী যেতে হবে।কুড়িগ্রাম যাতায়াত ভাড়া
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুড়িগ্রাম জেলার দূরত্ব ৩৩৯ কিলোমিটার। বর্তমানে এই রুটে নাবিল পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, ও এনা ট্রান্সপোর্ট সহ বেশ কিছু বাস সার্ভিস রয়েছে। এই অপারেটর গুলি Hino, Ashok Leyland, Isuzu ব্র্যান্ডের এসি ও ননএসি বাস দিয়ে পরিসেবা প্রদান করে। রাস্তার অবস্থার উপর নির্ভর করে ৯ থেকে ১০ ঘন্টার মতো সময় লাগে পৌঁছাতে। বাস অপারেটরের প্রকারের উপর নির্ভর করে এই রুটের বাস টিকিটের মূল্য ৭০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত। আবার কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে সরাসরি কুড়িগ্রাম যেতে পারবেন।
অনলাইনে বাসের টিকিট
Shohoz.com থেকে টিকেট কাটতে ক্লিক করুনBus BD থেকে বাসের টিকেট কাটতে ক্লিক করুন
Bus Tickets থেকে বাসের টিকেট কাটতে ক্লিক করুন
কোথায় থাকবেন
কুড়িগ্রাম শহরের ঘোষপাড়া ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে বিভিন্ন মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল অর্নব প্যালেস, হোটেল ডিকে, হোটেল স্মৃতি, হোটেল নিবেদিকা ও হোটেল মেহেদী উল্লেখযোগ্য। থাকার জন্য এ সকল হোটেলের যে কোন একটা বেছে নিতে পারেন।