লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদীতে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু তীর্থস্থান। বিশেষত বাঙালি হিন্দুর কাছে এটি একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান। লোকনাথ ব্রহ্মচারী এটি তৈরী করেছিলেন। শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমের ঠিক দক্ষিণের উঠানের সামনে, তার সমাধি স্থানের পশ্চিমে, মূল গেটের ঠিক সামনে, পথ আগলে শত বছর ধরে কালের নানা ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকৃতির একটি বকুল গাছ। আশ্রমের ভিতরে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর বিশাল তৈলচিত্র রয়েছে। এই আশ্রমে সন্ধ্যায় পূজা হয়। মূল আশ্রমের পেছনে খোলা একটু উঠান পেরিয়ে বিশাল পাচঁ তলা ভবেনর যাত্রীনিবাস। পশ্চিমে আরো দুইটি যাত্রীনিবাস। লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমে আসা যে কেউ থাকতে পারবেন এই যাত্রীনিবাসে। এজন্য কোন ভাড়া নিতে হবে না। দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন এই যাত্রী নিবাসগুলো রাত্রী যাপন করেন।
প্রতি বছর ১৯ই জৈষ্ঠ এখানে সপ্তাহ ব্যাপী মেলা বসে। ১৮৯০ সালের (বাংলা ১২৯৭ সন) এই দিনে পরমপুরুষ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মৃত্যুবরণ করেন। তার এই মহাকাল প্রয়ানের দিনটিকে ভক্তি শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে স্মরণ করার জন্যই এই মেলার আয়োজন করা হয়। শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান উৎসবে অংশগ্রহণ করতে প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ দেশের লক্ষাধিক লোকনাথ ভক্ত বারদী আশ্রমে এসে সমবেত হন। আশ্রমের ঠিক সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ। এখানেই প্রতি বছর মেলা বসে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে বিশাল আয়োজন করা হয়। আশে পাশের ও দূর দূরান্তের এলাকা থেকে হাজার ও পণ্য আসে এখানে। আসে বাহারী তৈজসপত্র, আহারের ফল ফলাদি আরো কত কি। বহু দেশের ধর্মাবলম্বী মানুষের আগমন ঘটে এই মেলায়। সপ্তাহব্যাপী রাত দিন টানা চলে এই মেলা।
লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম এখন শুধু মাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থানই নয়, বরং ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে সকল ধর্মের, সকল মানুষের কাছে এক মিলন মেলায় রূপ নিয়েছে। নগরিক ব্যস্ততা আর ইট-কাঠের জীবন নিয়ে যখন ক্লান্ত দেহ-মন, আর সামগ্রিক জীবনের একঘেয়েমিতে হাঁপিয়ে উঠার আগেই ঘুরে আসতে পারেন বারদীর এই লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম থেকে
রুট নং ২: রাজধানী ঢাকার গুলিস্থান থেকে দোয়েল, স্বদেশ বা বোরাক বাসে নারায়ণগঞ্জের মোগড়াপাড়ায় নেমে যেতে হবে, মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থেকে সিএনজি বা অটো রিক্সা ভাড়া করে বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম পৌঁছতে পারবেন।
প্রতি বছর ১৯ই জৈষ্ঠ এখানে সপ্তাহ ব্যাপী মেলা বসে। ১৮৯০ সালের (বাংলা ১২৯৭ সন) এই দিনে পরমপুরুষ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মৃত্যুবরণ করেন। তার এই মহাকাল প্রয়ানের দিনটিকে ভক্তি শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে স্মরণ করার জন্যই এই মেলার আয়োজন করা হয়। শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান উৎসবে অংশগ্রহণ করতে প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ দেশের লক্ষাধিক লোকনাথ ভক্ত বারদী আশ্রমে এসে সমবেত হন। আশ্রমের ঠিক সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ। এখানেই প্রতি বছর মেলা বসে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে বিশাল আয়োজন করা হয়। আশে পাশের ও দূর দূরান্তের এলাকা থেকে হাজার ও পণ্য আসে এখানে। আসে বাহারী তৈজসপত্র, আহারের ফল ফলাদি আরো কত কি। বহু দেশের ধর্মাবলম্বী মানুষের আগমন ঘটে এই মেলায়। সপ্তাহব্যাপী রাত দিন টানা চলে এই মেলা।
লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম এখন শুধু মাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থানই নয়, বরং ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে সকল ধর্মের, সকল মানুষের কাছে এক মিলন মেলায় রূপ নিয়েছে। নগরিক ব্যস্ততা আর ইট-কাঠের জীবন নিয়ে যখন ক্লান্ত দেহ-মন, আর সামগ্রিক জীবনের একঘেয়েমিতে হাঁপিয়ে উঠার আগেই ঘুরে আসতে পারেন বারদীর এই লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম থেকে
লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম কিভাবে যাবেন
রুট নং ১: রাজধানী ঢাকার গুলিস্থান থেকে দোয়েল, স্বদেশ বা বোরাক বাসে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড নেমে যেতে হবে, মদুপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অটো বা সিএনজি তে চরে যেতে হবে তালতলা বাজার, তালতলা বাজার থেকে আবার সিএসজিেতে চরে যেতে হবে বারদী বাজার বা লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম।রুট নং ২: রাজধানী ঢাকার গুলিস্থান থেকে দোয়েল, স্বদেশ বা বোরাক বাসে নারায়ণগঞ্জের মোগড়াপাড়ায় নেমে যেতে হবে, মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থেকে সিএনজি বা অটো রিক্সা ভাড়া করে বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম পৌঁছতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
নারায়ণগঞ্জ শহরে হোটেল মেহরান, হোটেল সোনালি, হোটেল নারায়ণগঞ্জ, হোটেল মিনা আবাসিক ও হোটেল মজিবরের মতো বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়াও অনুমতি নিয়ে সার্কিট হাউজ ও জেলা পরিষদের ডাক বাংলোয় থাকতে পারবেন।কোথায় খাবেন
খাবারের জন্য লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম থেকে অটো বা সিএনজি তে চড়ে চলে আসতে পারবেন সোনারগায়ের মোগড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এখানে ভালো মানের বেশ কতোগুলো খাবারের হোটেল রয়েছে।নারায়ণগঞ্জের আরো দর্শনীয় স্থান
▢ জ্যোতিবসুর বাড়ি▢ জিন্দা পার্ক