হোসেন শাহ এর রাজত্বকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যে সব শিলালিপি পাওয়া যায় তার মধ্যে গোয়ালদি মসজিদ ও তার সংলগ্ন শিলালিপি অন্যতম। বিশেষ করে, ভারতের গৌড়, পান্ডুয়া ও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের ইমারতে ন্যায় এ মসজিদের ভেতর ও বাইরের দেয়ালের পাথর ও ইটের উপরে মুসলিম ঐতিহ্যগত আরবীয় অলংকরন লক্ষ্য করা যায়।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদের ইতিহাস সংবলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে তাতে উল্লেখ করেছেন, মোগল আমলে ঢাকায় রাজধানী স্থাপনের আগে সোনারগাঁয়ে বার ভূঁইয়া প্রধান ঈশা খাঁ, মুসা খাঁ ও এর আগের স্বাধীন সুলতানদের রাজধানী ছিল। রাজধানী ও রাজসভার জন্য মনোরম ইমারত ছাড়াও মুসলিম শাসকেরা এখানে মসজিদ, খানকা ও সমাধি নির্মাণ করেন। তার মধ্যে এ মসজিদ অন্যতম।
মসজিদের পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে (এখন ইট দিয়ে ভরাট করা) একটি করে খিলানাকৃতির প্রবেশপথ রয়েছে। একমাত্র গম্বুজটির ভিত্তি চারকোণের চারটি স্কুইঞ্চ খিলানের উপর। ছাদের ভার রক্ষার জন্য মসজিদটির ভেতরে কালো পাথরের অলংকৃত স্তম্ভও রয়েছে। পূর্ব দিকের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর পশ্চিম দেয়ালে অলংকরণে সমৃদ্ধ তিনটি মিহরাব রয়েছে।
কেন্দ্রীয় মিহরাবটি অপেক্ষাকৃত প্রশস্ততর এবং কালো পাথরে খোদাইকৃত ফুলেল ও আরব্য নকশায় সৌন্দর্যমন্ডিত। পার্শ্ববর্তী মিহরাব দুইটি পোড়ামাটির ফুলেল ও জ্যামিতিক নকশায় শোভিত। মসজিদের পেছন দিকটায় রয়েছে কয়েকটি শিমুল গাছ।
ঐতিহাসিক এ মসজিদটির ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষায় ১৯৭৫ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রত্বতত্ত্ব অধিদপ্তর এই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সার্বিক বিষয়ে তত্বাবধান করে চলছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদের ইতিহাস সংবলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে তাতে উল্লেখ করেছেন, মোগল আমলে ঢাকায় রাজধানী স্থাপনের আগে সোনারগাঁয়ে বার ভূঁইয়া প্রধান ঈশা খাঁ, মুসা খাঁ ও এর আগের স্বাধীন সুলতানদের রাজধানী ছিল। রাজধানী ও রাজসভার জন্য মনোরম ইমারত ছাড়াও মুসলিম শাসকেরা এখানে মসজিদ, খানকা ও সমাধি নির্মাণ করেন। তার মধ্যে এ মসজিদ অন্যতম।
মসজিদ এর অবকাঠামো
মসজিদের ভেতর ও বাইরের দেয়ালে পাথর এবং ইটের ওপর আরব্য অলংকরণ লক্ষণীয়। দেয়ালগুলোর প্রশস্ততা ১ দশমিক ৬১ মিটার। চার কোণায় সুলতানি রীতিতে তৈরি চারটি খিলান-স্তম্ভ রয়েছে। মসজিদের ছাদে একটি গম্বুজ ও চার কোনায় সুলতানি রীতিতে তৈরি চারটি টাওয়ার রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরে প্রবেশের ৪টি খিলান পথ রয়েছে। আর প্রধান প্রবেশপথের সোজাসোজি কালো পাথরের তৈরি কেন্দ্রীয় মেহরাব অবস্থিত। ৩ টি মেহরাবের বাকি ২ টি মেহরাব ইটের তৈরি।মসজিদের পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে (এখন ইট দিয়ে ভরাট করা) একটি করে খিলানাকৃতির প্রবেশপথ রয়েছে। একমাত্র গম্বুজটির ভিত্তি চারকোণের চারটি স্কুইঞ্চ খিলানের উপর। ছাদের ভার রক্ষার জন্য মসজিদটির ভেতরে কালো পাথরের অলংকৃত স্তম্ভও রয়েছে। পূর্ব দিকের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর পশ্চিম দেয়ালে অলংকরণে সমৃদ্ধ তিনটি মিহরাব রয়েছে।
কেন্দ্রীয় মিহরাবটি অপেক্ষাকৃত প্রশস্ততর এবং কালো পাথরে খোদাইকৃত ফুলেল ও আরব্য নকশায় সৌন্দর্যমন্ডিত। পার্শ্ববর্তী মিহরাব দুইটি পোড়ামাটির ফুলেল ও জ্যামিতিক নকশায় শোভিত। মসজিদের পেছন দিকটায় রয়েছে কয়েকটি শিমুল গাছ।
ঐতিহাসিক এ মসজিদটির ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষায় ১৯৭৫ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রত্বতত্ত্ব অধিদপ্তর এই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সার্বিক বিষয়ে তত্বাবধান করে চলছে।
গোয়ালদি মসজিদ কিভাবে যাবেন
ঢাকার গুলিস্তান থেকে স্বদেশ, দোয়েল, বোরাক অথবা সোনারগাঁ পরিবাহন বাসে উঠে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় নামতে হবে। বাস টিকিট মূল্য: গুলিস্তান থেকে ৪০ হতে ৫০ টাকা (এসি/নন-এসি)। মোগরাপাড়া থেকে লোকশিল্প জাদুঘরের দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার। চাইলে রিক্সা অথবা সিএনজিতে করে যেতে পারেন। এছাড়া নিজস্ব পরিবহণ থাকলে সেটা দিয়েও যেতে পারেন। কারন যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। আর, লোকশিল্প জাদুঘর থেকে মসজিদ এর দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার।আপনি সরাসরি মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে অটোরিক্সা, রিক্সা অথবা সিএনজি নিয়ে চলে আসতে পারেন অথবা পানাম নগর, লোকশিল্প জাদুঘর ঘুরে মসজিদটি দেখতে আসতে পারেন। ভাড়া: মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে পানাম নগর অটোরিক্সা ভাড়া: ১০-২০ টাকা। পানাম নগর থেকে গোয়ালদি মসজিদ অটোরিক্সা ভাড়া: ২০-৩০ টাকা।