কমলদহ ঝর্ণা দেখে আরও ভেতরের দিকে হাঁটতে থাকুন। ৩০ মিনিট হাঁটার পর দেখবেন রাস্তা ভাগ হয়ে গেছে দুই দিকে। বামদিকের রাস্তাটি ধরে হাঁটুন। আরও কিছুদূর এগিয়ে গেলে আবারও দেখতে পাবেন দু'টো রাস্তা। এবারও যাবেন বামদিকে। একসময় পাবেন আরেকটি চমৎকার পাহাড়ি ঝর্ণা, নাম তার ছাগলকান্দা।
ছাগলকান্দা থেকে এগিয়ে পাথরভাঙ্গা নামে আরেকটি ঝর্ণা আছে। তবে এই ঝর্ণার পথ খুবই বিপদসংকুল। ছাগলকান্দা থেকে বাম দিকে পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতে হবে। উপরে উঠতে উঠতে রাস্তা এতটাই সরু হয়ে গেছে যে পা ফেলার জায়গা নেই সেখানে। ডালপালা ধরে কোনমতে পার হতে হয়। একটু অসাবধান হলেই পড়ে যাবেন সোজা নিচে পাথরের ওপর। তাই সাহস এবং দক্ষতা না থাকলে ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো।
পাথরভাঙ্গা দেখে একই পথে নামার প্রয়োজন নেই। আরেকটি সহজ পথে নেমে আসতে পারবেন। পথটি চিনতে স্থানীয়দের সাহায্য নিন।
ছাগলকান্দা ঝর্ণা কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে (ভাড়া মানভেদে ৪০০-১২০০টাকা) সীতাকুণ্ড এর বড় দারোগারহাট বাজারে নামতে হবে। এছাড়া ট্রেনে ফেনী বা চট্রগ্রাম নেমে আসতে পারবেন দারোগারহাট বাজারে।চট্টগ্রাম (কদমতলী শুভপুর ষ্টেশন) থেকে চয়েসে যেতে পারেন, ভাড়া ৮০ টাকা অন্য উপায়েও যাওয়া যায় মিনিবাসে করে। বড় দারোগার হাট থেকে লেগুনাতে ইট ভাটার পর্যন্ত। এর পরের রাস্তা দিয়ে পূর্ব দিকে ২০-২৫ মিনিটের হাটা পথ। প্রথমেই দেখা মিলবে কমলদহ ঝর্ণার। বাকি পথ ছড়া ধরে গেলেই দেখা মিলবে ছাগলকান্দা ঝর্ণার।
কোথায় খাবেন
সীতাকুন্ডে কয়েকটি খাবার হোটেল আছে। আল আমীন হোটেলটির খাবারের মান ভালো। ছাগলকান্দা ঝর্ণা ঘুরে এসে দুপুরের খাবার এখান থেকে খেতে পারেন।কোথায় থাকবেন
মিরসরাইতে থাকার জন্য ভালো কোন আবাসিক হোটেল নেই, তাই আপনাকে সীতাকুন্ডে থাকতে হবে। যদিও সীতাকুন্ডেতেও তেমন ভালো মানের আবাসিক হোটেল নেই। বাজারের ভিতরে কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে।হোটেল সাইমুন, ভাড়া ৩০০-৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০১৮২৭৩৩৪০৮২, ০১৮২৫১২৮৭৬৭।
সরকারী প্রতিষ্ঠানের ডাকবাংলো আছে। এছাড়া বারৈয়ারহাট থাকতে পারবেন । গোল্ডেন নামে একটি আবাসিক হোটেল ও জাহেদ নামে একটি বোর্ডিং আবাসিক আছে। একটু ভাল মানে থাকতে চাইলে ভাটিয়ারী থাকতে পারবেন। এখানে দুইটি আবাসিক হোটেল আছে। সিঙ্গেল রুম নন এসি ৬০০ টাকা। দুই বিছানার এসি রুম ১২০০ টাকা।
আরো দেখুন
▢ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
▢ জাফলং