ছাগলকান্দা ঝর্ণা | ভ্রমণকাল

ছাগলকান্দা ঝর্ণা

chagolkanda-waterfalls-chittagong
ছাগলকান্দা ঝর্ণা এর ট্রেইল অপরিচিত একটা ট্রেইল। এই ট্রেইলে যাওয়ার পথে বড় কমলদহ ঝর্ণা পরে। বড় কমলদহ ঝর্ণার আপারস্ট্রিমে আবার আছে ৪-৫টি বড় এবং মাঝারি ঝর্ণা। এদের মধ্য অন্যতম হল ছাগলকান্দা ঝর্ণা। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বড় দারোগার হাট থেকে মহাসড়ক ধরে উত্তর দিকে (ঢাকা আসতে) আসলে প্রথমে একটি ইট খোলা পরবে। ইট খোলা পার হয়ে হাতের ডানের প্রথম মাটির রাস্তা ধরে যেতে হয়। মাটির রাস্তা ধরে কিছু দূর গিয়ে ঝিরি পথে নেমে ২০ মিনিটের মত গেলে ঝিরি মুখে পরবে কমলদহ ঝর্ণা। মূলত এটি একটি ক্যাসকেড। ছাগলকান্দা ঝর্ণার আরেক নাম কমলক ঝর্ণা।

কমলদহ ঝর্ণা দেখে আরও ভেতরের দিকে হাঁটতে থাকুন। ৩০ মিনিট হাঁটার পর দেখবেন রাস্তা ভাগ হয়ে গেছে দুই দিকে। বামদিকের রাস্তাটি ধরে হাঁটুন। আরও কিছুদূর এগিয়ে গেলে আবারও দেখতে পাবেন দু'টো রাস্তা। এবারও যাবেন বামদিকে। একসময় পাবেন আরেকটি চমৎকার পাহাড়ি ঝর্ণা, নাম তার ছাগলকান্দা।

ছাগলকান্দা থেকে এগিয়ে পাথরভাঙ্গা নামে আরেকটি ঝর্ণা আছে। তবে এই ঝর্ণার পথ খুবই বিপদসংকুল। ছাগলকান্দা থেকে বাম দিকে পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতে হবে। উপরে উঠতে উঠতে রাস্তা এতটাই সরু হয়ে গেছে যে পা ফেলার জায়গা নেই সেখানে। ডালপালা ধরে কোনমতে পার হতে হয়। একটু অসাবধান হলেই পড়ে যাবেন সোজা নিচে পাথরের ওপর। তাই সাহস এবং দক্ষতা না থাকলে ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো।

পাথরভাঙ্গা দেখে একই পথে নামার প্রয়োজন নেই। আরেকটি সহজ পথে নেমে আসতে পারবেন। পথটি চিনতে স্থানীয়দের সাহায্য নিন।

ছাগলকান্দা ঝর্ণা কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে (ভাড়া মানভেদে ৪০০-১২০০টাকা) সীতাকুণ্ড এর বড় দারোগারহাট বাজারে নামতে হবে। এছাড়া ট্রেনে ফেনী বা চট্রগ্রাম নেমে আসতে পারবেন দারোগারহাট বাজারে।

চট্টগ্রাম (কদমতলী শুভপুর ষ্টেশন) থেকে চয়েসে যেতে পারেন, ভাড়া ৮০ টাকা অন্য উপায়েও যাওয়া যায় মিনিবাসে করে। বড় দারোগার হাট থেকে লেগুনাতে ইট ভাটার পর্যন্ত। এর পরের রাস্তা দিয়ে পূর্ব দিকে ২০-২৫ মিনিটের হাটা পথ। প্রথমেই দেখা মিলবে কমলদহ ঝর্ণার। বাকি পথ ছড়া ধরে গেলেই দেখা মিলবে ছাগলকান্দা ঝর্ণার।

কোথায় খাবেন

সীতাকুন্ডে কয়েকটি খাবার হোটেল আছে। আল আমীন হোটেলটির খাবারের মান ভালো। ছাগলকান্দা ঝর্ণা ঘুরে এসে দুপুরের খাবার এখান থেকে খেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন

মিরসরাইতে থাকার জন্য ভালো কোন আবাসিক হোটেল নেই, তাই আপনাকে সীতাকুন্ডে থাকতে হবে। যদিও সীতাকুন্ডেতেও তেমন ভালো মানের আবাসিক হোটেল নেই। বাজারের ভিতরে কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে।

হোটেল সাইমুন, ভাড়া ৩০০-৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০১৮২৭৩৩৪০৮২, ০১৮২৫১২৮৭৬৭।
সরকারী প্রতিষ্ঠানের ডাকবাংলো আছে। এছাড়া বারৈয়ারহাট থাকতে পারবেন । গোল্ডেন নামে একটি আবাসিক হোটেল ও জাহেদ নামে একটি বোর্ডিং আবাসিক আছে। একটু ভাল মানে থাকতে চাইলে ভাটিয়ারী থাকতে পারবেন। এখানে দুইটি আবাসিক হোটেল আছে। সিঙ্গেল রুম নন এসি ৬০০ টাকা। দুই বিছানার এসি রুম ১২০০ টাকা।

আরো দেখুন

▢ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
দৃষ্টি আকর্ষণ: আমাদের পর্যটন স্পট গুলো আমাদের দেশের পরিচয় বহন করে এবং এইসব পর্যটন স্পট গুলো আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন। আর ভ্রমনে গেলে কোথাও ময়লা ফেলবেন না। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
ভ্রমণকাল: আমাদের টিম সবসময় চেষ্টা করে আপনাদের কাছে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা বানান ভুল হয়ে থাকে বা ভ্রমণ স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে অথবা আপনার কোন ভ্রমণ গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করতে চান তাহলে Comments করে জানান অথবা আমাদের কে ''আপনার মতামত'' পেজ থেকে মেইল করুন।